চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৭৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। বুধবার (১৪ আগস্ট) র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ-উল আলম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
মো. শরীফ-উল আলম বলেন, ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ২১টি এখনো সচল। বাকি ১৪টি পুড়ে গেছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসএমজি, চায়না রাইফেল, বিডি রাইফেল, শটগান, পিস্তল ও গ্যাসগান।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা, ইপিজেডসহ বেশ কয়েকটি থানায় ব্যাপক লুটপাট হয়, এসব থানায় আগুনও দেওয়া হয়েছিল ওইদিন। এ ছাড়া হামলার চেষ্টা হয়েছিল নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সেও। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন গত সোমবার অবৈধ অস্ত্র থানায় জমা দিতে সাত দিন সময় বেঁধে দেন। তা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সাখাওয়াত বলেন, যাদের হাতে আন-অথরাইজ উয়েপন বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন, তাদের বিরুদ্ধে দুটি চার্জ লাগবে। দুটি মামলার মধ্যে একটি হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র মামলা, অন্যটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে। কেউ যদি নিজে থেকে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসব অস্ত্র জমা দিতে না পারেন তাহলে অন্যের মাধ্যমে তা ফেরত দেওয়ার সুযোগও সরকার খোলা রেখেছে। এসব নির্দেশনা আমলে না নিলে অস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নামা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মো. শরীফ-উল আলম আরও বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনারের (হেডকোয়ার্টার্স) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন