চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধরা খেলে দালাল, নইলে ব্যবসায়ী!

আটককৃত দালালচক্রের সদস্যরা। ছবি : সংগৃহীত
আটককৃত দালালচক্রের সদস্যরা। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও ল্যাব ব্যবসায়ীদের বেশি আনাগোনা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যন্ত ছুটোছুটি তাদের। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিলে তা বাগিয়ে নিজেদের ল্যাবে নিয়ে করান তারা। এই কাজে ল্যাব কর্তৃপক্ষ রোগী হিসাব করে দেন টাকা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর তারা হয়ে যায় দালাল। অপরদিকে তাদের পেছনের মানুষ বরাবরের মতোই থেকে যায় অধরা। নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থাও।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) দালাল পরিচয়ে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন সবাই ব্যবসায়ী। তবে তাদের পরিচালনাকারী থেকে যায় আড়ালে। জামিনে এসে আবার আগের কাজে জড়ায়। তাদের টার্গেটে থাকে রোগীর স্বজনরা। সুযোগ বুঝে তাদের ভুলভাল বুঝিয়ে নিজেদের কবজায় নেয়। তাদের কার্যক্রম হাসপাতালে প্রকাশ্যেই চলে। চেনেও সবাই। হাসপাতালে কর্মরতরাও ধোয়া তুলশী পাতা নন। তারা ও ল্যাব ব্যবসায়ীদের থেকে কমিশন পায়। বেশি কম হলে ব্যবসায়ীরা হয়ে যায় দালাল।

পুলিশের দাবি, দালালরা রোগীর স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাগানোর সঙ্গে জড়িত। এমনকি তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পছন্দের ল্যাবে করানোর জন্য রোগী বাগিয়ে নেয়। অথচ সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম খরচে চমেক হাসপাতালে করার সুযোগ আছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ৫ দালালকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন আনসার সদস্যরা। তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন চৌমুহনী এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে আবু কালাম (৩২), রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া পূর্ব চৌধুরী হাট এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৫), বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী ফুলতলা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (২৪), রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরাঙ্গ সিংহের ছেলে সুজন সিংহ (৩৯) ও সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের নুরুল হকের ছেলে আব্দুল আউয়াল (৩১)।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কর্মরতরা কালবেলাকে জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করেন। রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বাগিয়ে নেন নিজেদের ল্যাবে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, আটককৃতরা বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের নির্ধারিত ল্যাবে নিয়ে হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। আনসার সদস্যরা তাদের হাতেনাতে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঁচ দালালকে আটক করা হয়। চলতি বছর ২১ মার্চে চমেক হাসপাতাল থেকে ৩৮ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। তারা সবাই হাসপাতালের আশপাশের ল্যাব, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধের দোকানের দালাল বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X