সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে নগরের ষোল শহরের ২ নম্বর গেটে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে সকল কোটা বাতিল হয়। সম্প্রতি এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিপত্রটি বাতিল করেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের এমন রায়ের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও চট্টগ্রামের সমন্বয়ক আবুল ফয়েজ মামুন বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে উচ্চ আদালত সে পরিপত্র বাতিল করে ছাত্র সমাজের মধ্যে আবারও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বৈষম্য দূর করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের দাবি মূলত চারটি- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষার্থী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে আগামীকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো ২ নম্বর গেটে সড়কে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন