চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি কেউ সীমা লঙ্ঘন করেন তাহলে আমার যতটুকু করার আছে ততটুকু আমি করব।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের একটি হোটেলে ‘মডার্নাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্স এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’ চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কাটা, খাল ও নদী দখলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা সেই টার্গেট বাস্তবায়নে কাজ করছি। এখানে যারা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছেন সেটা যেন আমরা যেন সঠিকভাবে পালন করি। কাজে যেন কোনো গাফলতি না হয়। যদি কোনো গাফলতি হয় তাহলে সেটা বরদাস্ত করব না। যদি কেউ সীমা লঙ্ঘন করেন তাহলে আমার যতটুকু করার আছে ততটুকু আমি করব। এখানে কাউন্সিলররা আছেন, তাদের আমি বলবো আপনারা থাকতে কীভাবে পাহাড় কাটবে, খাল দখল হবে? যেভাবেই হোক এগুলো বন্ধ করতে হবে।
এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে নগরের আর কোন অলিগলিতে অন্ধকার থাকবে না। বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে, মেইনটেইনস ব্যয়ও কম হবে। আমি মেয়র হিসেবে কথা দিচ্ছি এ প্রকল্প ত্রুটিমুক্তভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরীর শিশু কিশোরদের খেলার মাঠ, নগরবাসীর বিনোদন স্পট বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। ইতোমধ্যে চসিকের তিনটি ওয়ার্ডকে স্মার্ট ওয়ার্ড গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন