যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে বিয়ের আগের দিন চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন রীমা আক্তার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রীমা আক্তার (২০) পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হীরা তালুকদার বাড়ির মনির আহমদের মেয়ে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে সিলেট মহানগরের শায়েস্তাগঞ্জ কদমতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি জসীম উদ্দিন।
জানা যায়, গত ২৭ জুন ছিল রীমার গায়ে হলুদ ও মেহেদী অনুষ্ঠান। পরদিন তার বিয়ের কথা ছিল একই এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার মিজানুর রহমান মোরশেদের সঙ্গে। কিন্তু ফার্নিচার দিতে দেরি হওয়া নিয়ে মোরশেদের সঙ্গে ২৭ জুন ঝগড়া হয় রীমার। পরে সে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। সেদিনই রীমার বাবা মনির আহমদ বাদী হয়ে মোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, রীমার সঙ্গে মোরশেদের প্রেম চার বছর ধরে। দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের কথা পাকা হয়। সে অনুযায়ী কাবিননামাও হয়েছিল।
তিনি জানান, বরযাত্রীর খাবার বাবদ ২ লাখ টাকা রীমার পরিবার থেকে নেয় মোরশেদের পরিবার। তবে বিয়ের আগের দিন হঠাৎ ফার্নিচার দাবি করে তারা। এ সময় রীমার পরিবার তা বিয়ের কয়েকদিন পর দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু মোরশেদ হলুদের দিন রীমাকে ফোন করে বলে, অনুষ্ঠানের আগে ফার্নিচার তার বাড়িতে না পৌঁছালে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না। এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রীমা আত্মহত্যা করে।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযানে নামে। বুধবার ভোরে সিলেট থেকে মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন