নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন কালবেলার চ্যালেঞ্জটা বেশি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) কালবেলার ১ বছরপূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কালবেলা শুরুতেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। গত ১ বছর ধরে কালবেলা পাঠকদের নিরবচ্ছিন্ন তৃপ্তির জায়গায় কাজ করছে। সবচেয়ে বড় কথা কালবেলা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস করেনি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কালবেলা এগিয়ে যাচ্ছে আমরা এটাই প্রত্যাশা করি। কালবেলার এই ধারাবাহিকতা শুধু গণমাধ্যম নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কালবেলার চ্যালেঞ্জটা বেশি। এতবড় একটা ক্যানভাস তৈরি হয়ে গেছে তাই এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই কালবেলার জন্য চ্যালেঞ্জ।
কোভিড পরবর্তী দুনিয়ায় অর্থনৈতিক টানাপড়েন। বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী সংবাদ পত্রিকা টিকে থাকার লড়াইয়ে। ডিজিটাল মিডিয়ার হাতছানি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর বাজারে আসে দৈনিক কালবেলা। অচলায়তন ভাঙার দীপ্ত শপথে আঁধার পেরিয়ে স্লোগানে পত্রিকাটি বাজারে এসেই তুমুল আলোড়ন তোলে। ছাপা পত্রিকার আস্থা ফেরাতে পাঠকদের উপহার দেয় একের পর এক দুর্দান্ত আলোচিত রিপোর্ট। গণমাধ্যম, গণমানুষের কণ্ঠস্বর- তা যেন ফুটিয়ে তোলার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা পত্রিকার প্রতিটি পাতাজুড়ে।
ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দেয় কালবেলা অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া। নেট দুনিয়ায় পাঠক ও দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে কালবেলা। সামাজিক মাধ্যমে মাত্র ৬ মাসে দেশের সব পত্রিকাকে পেছনে শীর্ষে কালবেলা।
পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া তো বটেই অনেক টেলিভিশনকে পেছনে ফেলে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে কালবেলা। প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি বার কালবেলার ভিডিও দেখছেন দর্শকরা। অনলাইনে কালবেলার খবর পড়ছে দৈনিক প্রায় ২০ লাখ পাঠক। প্রিন্ট ভার্সন প্রতিদিন পড়েন প্রায় ৪০ লাখ পাঠক। সব মিলিয়ে দৈনিক কালবেলার সঙ্গে রয়েছেন প্রায় আড়াই কোটি পাঠক-দর্শক। মাসে প্রায় ১০০ কোটি পাঠক-দর্শকের ভালোবাসায় শিক্ত কালবেলা।
নিত্য নতুন সংবাদ এবং দারুণ উপস্থাপনায় ভিডিও সংবাদেও আছে নতুনত্ব। এসব অর্জনের পেছনে নিরলস কাজ করে চলেছে একঝাক তরুণ অদম্য সংবাদকর্মী।
প্রথম সংখ্যা থেকেই বাজিমাত করে আসছে দৈনিক কালবেলা। মাত্র ৩৬৫ দিনে বহু সংবাদের কারণে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে পত্রিকাটি। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তথ্য থেকে শুরু করে বহু দুর্নীতি মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে কালবেলার অনুসন্ধানে। রিপোর্টার, সাব-এডিটর, এডিটর, কয়েকটি হাত ঘুরে একেকটি সংবাদ পরিণত হয় দেশ সেরা প্রতিবেদনে। তাই এই অল্প দিনের যাত্রায় কালবেলা পৌঁছে গেছে জনপ্রিয়তার অনন্য উচ্চতায়। মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত পত্রিকাটি লড়াই করছে কেবল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
মন্তব্য করুন