মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক পেলেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তিন সাংবাদিক।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৪টায় ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জুরিবোর্ড সদস্য ফরিদুর রেজা সাগর, এ এস এম সামছুল আরেফিন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সরওয়ার আলী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। সভাপতির বক্তব্য দেন জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে দৈনিক ভোরের কাগজের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ঝর্ণা মনি ও ডেইলি স্টারের রিপোর্টার আহমেদ ইশতিয়াক যৌথভাবে ২০২৩ সালের শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক নির্বাচিত হয়ে এ পুরস্কার লাভ করেন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন চ্যানেল আইএ’র বিশেষ করসপন্ডেট লায়লা নওশিন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা পেয়েছেন ক্রেস্ট, সনদপত্র ও ৫০ হাজার টাকার চেক।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনার মাপকাঠিতে সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের যে অসীম তৃষ্ণা ও জাদুঘর ছড়িয়ে দিতে পেরেছে তাতে করে আমরা আশাবাদী হই। সাহস পাই পরাজিত শক্তিরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, এ মাটির বুক থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শহীদের রক্তবিন্দুকে মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনন্তকাল আমাদের হাত ধরে থাকবে, পথ দেখিয়ে যাবে।
ডা. সরওয়ার আলী বলেছেন, নির্ভীক সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংরক্ষণ ও এর প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ অঞ্চল সাহসী ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার গৌরবময় ঐতিহ্য বহন করে। পাকিস্তানের সামরিক শাসনের আমলে তারা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশাল ভূমিকা পালন করেছেন। দেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
মন্তব্য করুন