রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ মেলায় ‘কোটি টাকার একটি গরু’ এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন সাদেক এগ্রোর ইমরান হোসেন। এর পর ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশ করে নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সেই ছাগলকাণ্ডে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
গতকাল বুধবার (২৬ জুন) হঠাৎ করেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবৈধভাবে স্থাপন করা সাদেক এগ্রো উচ্ছেদের ঘোষণা দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট (https://sadeeqagro.com) ভিজিট করতে গেলে বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা যায় বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ হয় তাদের ওয়েবসাইট।
একদিন আগে মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেও দেখা যাচ্ছিল পশু ছাড়াও বিভিন্ন রকমের বেকারি পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে আর সে ওয়েবসাইট পাওয়া যায়নি।
সাদেক এগ্রো শুধু পশু বিক্রিই করতেন না। তাদের ফেসবুক ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত চটকদার বিজ্ঞাপনে দেখা যেত- মিষ্টি, কেক, তেহারি, শর্মা ও বার্গারসহ বিভিন্ন পণ্য।
এসব পণ্য তাদের খামারের নিজস্ব দুধ ও মাংস দিয়ে তৈরি বলে দাবি করা হতো। যার কারণে পশুর মতো উচ্চ মূল্যেই বিক্রি হতো এ সকল পণ্য।
ওয়েবসাইটে কী সমস্যা, সে বিষয়ে সাদেক এগ্রোর কোনও বক্তব্য জানা না গেলেও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা কারণেই বন্ধ হতে পারে ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটের মালিক চাইলেও বন্ধ (অফলাইন) করে রাখতে পারেন।
জানা যায়, সাদেক এগ্রোর ওয়েবসাইটির হোস্টিং কোম্পানি হিসাবে রয়েছে এক্সনহোস্ট।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, আমাদের সকল কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। অনেক সময় বিলিং সমস্যা থাকে। বকেয়া থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঝে মধ্যেই ম্যালওয়্যার আক্রমণ হতে পারে। তাতে এ ধরনের সমস্যা হয়।
সাদেক এগ্রোর কী ধরনের সমস্যা হয়েছে- প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ২৫ হাজার ওয়েবসাইট মেনটেইন করি। ফলে কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ না করলে আমাদের পক্ষে এটা বলা কঠিন।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমে সাদেক এগ্রোর মালিক ইমরান নিজেকে উপস্থাপনা করলেও সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডের পর নিজেকে লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করছেন তিনি।
দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বন্ধ হলেও সাদেক এগ্রোর নামে খোলা ফেইসবুক পেজ এবং ইনস্টাগ্রাম সচল আছে।
মন্তব্য করুন