রাজধানীসহ সারা দেশেই উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনা। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়ার দাম না পাওয়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের। ক্রেতা বলছেন এ বছর চামড়ার দাম বেশ চড়া।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর নবাবপুর রোড, ধোলাইখাল মোড়, দয়াগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পশুর চামড়ার বাজারে কথা হয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মারা স্রষ্টার করুণা প্রাপ্তির আশায় এ দিনের পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মুসলিম উম্মারাও স্রষ্টার সন্তুষ্টি প্রাপ্তির আশায় পশু কোরবানি দেওয়া থাকে। কোরবানি করা পশুর চামড়া রাজধানীজুড়ে বসেছে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ চামড়া ক্রয় কেন্দ্র। এ বিষয়ে নবাবপুর রোডে ভ্রাম্যমাণ চামড়া ব্যবসায়ী মো. নয়ন মিয়া বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে কোরবানির এই সময় চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করি ট্যানারি মালিকদের কাছে। এ বছর ট্যানারি মালিকেরা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।তাই ৪০০ থেকে ১০০০ টাকার উপরে কোনো চামড়ার দর উঠছে না। গতবারের তুলনায় এবার চামড়া তুলনামূলক কম আসছে।
নবাবপুর রোডে চামড়া বিক্রি করতে আসা মৌসুমি ভ্রাম্যমাণ চামড়া ক্রেতা রহমান বলেন, ভাই প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় কিছু বাড়তি রোজগারের আশায়। বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে চামড়া ক্রয় করি এবং তা এই নবাবপুর রোডে এনে বিক্রি করি। এবছর দাম অনেক কম পাড়ামহল্লা ঘুরে যে দাম দিয়ে চামড়া গুলো কিনেছি। তা বিক্রি করতে এসে মনে হচ্ছে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে নিয়ে আসেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা। এর আগে, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে তাদের কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে দেখা গেছে।
বড় আকারের গরুর চামড়া ৬০০-৮০০ টাকা এবং মাঝারি ও ছোট আকারের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী চামড়ার দাম পাচ্ছেন না তারা।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, লবণের দাম ও সরবরাহ ঠিক থাকলেও অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় স্বল্পমূল্যেই চামড়া কিনতে হচ্ছে তাদের।
মন্তব্য করুন