র্যাব-৩ এর সদর দপ্তরের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ অ্যান্ড সন্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলামকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ।
এ ছাড়া ইস্কাটন গার্ডেন, বাসাবো, নাজিমউদ্দিন রোড, আলু বাজার, গোপীবাগ, গ্রিন মডেল টাউন, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং ও কোনাপাড়া এলাকায় আরও সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৩৯৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনে ১৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এর মধ্যে এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জরুল হক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ ছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিমউদ্দীন রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় একটি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুবাজার এলাকায় ৪৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায় এবং একটি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবাগ এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসিফ রহমান ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন এবং আমিন মোহাম্মদ হাউজিংয়ের ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
৯২ স্থান ও স্থাপনায় বিশেষ চিরুনি অভিযান : করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি স্থান ও স্থাপনায়ও বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এদিকে ব্রাদার্স ক্লাব, ধানমন্ডির সুপিরিয়র টাইপ সরকারি আবাসন, লাল ফকিরের মাজার, হোসনিদালান রোড, ছোট কাটরা জামে মসজিদ, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, আইজি গেটের বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি, শ্যামপুর বড় মসজিদসহ ৩৪টি স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।