রাজধানীর আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের উত্তরাধিকার দাবিদার ফারজানা হক লিমা নামে এক নারীকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে সম্পত্তির অধিকার ফিরে পেতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে ফারজানা হক এই অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।
ওই সময়ে তার দুই সন্তান সৈয়দ শাহ ফারহাদ উল্লাহ ইয়াসিন (১৫) ও সৈয়দা তানজিয়া বেগম ত্রশী (২১) উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফারজানা হক বলেন, আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের মোতয়াল্লী তার শ্বশুর মৃত সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ’র চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তার মধ্যে ফারজানার স্বামী মৃত সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রজতুলা ওরফে তানভির। তানভীরের চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাইয়ের কোনো সন্তান নেই। শুধু তানভীর-ফারজানা দম্পতির এক পুত্র সন্তান শাহ ফারহাদ রয়েছে। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ওই নারীর ভাসুর ও ননদরা। এজন্য সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তারা।
ফারজানা বলেন, আমার স্বামী তানভীর মারা যাওয়ার পর দুই এতিম সন্তানসহ আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে ভাসুর ও ননদেরা। আমি বিচারের জন্য মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করে। পরে ডিএমপি কমিশনার লালবাগ বিভাগের তৎকালীন ডিসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিসি ওই এলাকার সহকারী কমিশনারকে দিয়ে তদন্ত করে আমার অভিযোগের সত্যতা পান। এরপর বাড়িসহ অন্যান্য বিষয়ে আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন।
গত ১০ মাস সেভাবেই চলছিলো উল্লেখ করে ওই নারী বলেন, কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তারা বদলী হয়ে গেলে ফের আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল ভাসুর-ননদ ও তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া করেন। ওই সময়ে লালবাগ থানার এসআই রাজীব উপস্থিত ছিলেন। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও তারা এতিম দুই সন্তানসহ আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে যে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম, পুলিশের সহযোগিতায় সেই ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে আসামীরা। এখন স্কুল-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দুই সন্তান নিয়ে আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
ফারজানা হক তার প্রাপ্য দাবি করে বলেন, আসামীরা আমাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে।