খেজুর গুড় ও খেজুর উৎপাদন বাড়াতে সারা দেশে এক কোটি খেজুর গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। দুই বছরে প্রায় পাঁচ লাখ খেজুর গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতি জেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যেক বাড়িতে খেজুর গাছ লাগালে দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
‘ঐতিহ্য অন্বেষণে তারুণ্যের যাত্রা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত খেজুর ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব ও করণীয় এবং হেরিটেজ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন।
রাজধানীর পরিবাগে সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক সচিব মো. হুমায়ুন খালিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহিদা খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। এরপর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, খেজুর গাছ প্রাকৃতিক ঐতিহ্য। এর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত, প্রকৌশলগত বহুবিধ গুরুত্ব রয়েছে। খেজুর গাছ নিয়ে গবেষণা করা দরকার।
মো. আখতার হোসেন বলেন, খেজুর রস বা গুড় বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে। মানুষের মধ্যে মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে না ধরলে তা হারিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, খেজুর রস নিয়ে নিপাহ ভাইরাস আতংক শুরু হয়েছে। গাছ থেকে এই রস হাঁড়ির মুখ কাপড় দিয়ে বন্ধ করে সংগ্রহ করলে এই আশংকা থাকবে না।
মন্তব্য করুন