ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র শবেবরাত। পুরান ঢাকাবাসীর কাছে রাতটি ধর্মীয় ইবাদত প্রার্থনার পাশাপাশি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পালিত একটি উৎসব। এ শবেবরাতকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার অলিগলিতে ফেন্সি রুটির পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। বাহারি রকমের ফেন্সি রুটি ও বিভিন্ন স্বাদের হালুয়া বেচাকেনা চলছে পুরান ঢাকার অলিগলিতে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, সূত্রাপুর, নারিন্দা, ওয়ারী, দয়াগঞ্জ, কলতাবাজার, প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, নাজিরাবাজারসহ পুরান ঢাকার অলিগলিতে শবেবরাত উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে নানা নকশার পাউরুটি ও হালুয়া। দোকানে মাছ, কুমির, হাঁসের আদলে বেশ কয়েক প্রকার রুটি রয়েছে। সাথে রয়েছে বুটের হালুয়া, নারিকেলের হালুয়া, কিশমিশের হালুয়া, গাজরের হালুয়া, সুজির হালুয়া, সেমাই।
ফেন্সি রুটি বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। কেজি প্রতি রুটির দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাছের আকৃতির রুটি সর্বোচ্চ ৫-৭ কেজির মধ্যে রয়েছে। সর্বোচ্চ দাম ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। দোকানে দোকানে চলছে উৎসবমুখর বেচাকেনা।
বংশালের কনফেকশনারির দোকানি আমজাদ মিয়া বলেন, প্রতি বছর শবেবরাত উপলক্ষে আমাদের নিজস্ব বেকারিতে বিভিন্ন রকমের রুটি ও হালুয়া তৈরি করে থাকি। আগে এই রুটি বাসায় বাসায় তৈরি করা হতো। এখন আর হয় না। তাই দোকানের রুটির চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে রুটি কিনে নিয়ে যায়।
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের বাসিন্দা মো. হালিম বলেন, শবেবরাতের রুটি হালুয়া খাওয়া পুরান ঢাকার শত বছরের ঐতিহ্য। ইবাদতের পাশাপাশি শবেবরাতে বরাতি রুটি হালুয়া খাওয়া পুরান ঢাকাবাসীর একটি ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে। স্থানীয় মুসলমানরা এ রুটি খেয়ে শবেবরাত পালন করেন।
রাজধানীর তেজগাঁও থেকে নাজিরাবাজার ফেন্সি রুটি কিনতে আসা রুবিনা আহমেদ বলেন, বাচ্চা ফেন্সি রুটি বেশ পছন্দ করে তাই বাচ্চাদের নিয়ে শবেবরাতের সন্ধ্যায় রুটি ও হালুয়া কিনতে আসলাম। বেশ বাহারি রকম খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। দাম একটু বেশি নিচ্ছে তবে বেশ ভালো লাগছে দেখতে।
মন্তব্য করুন