সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, ফুড কার্নিভালে এত মানুষের সমাগম হবে আমি ভাবিনি। মানুষকে দেখলাম খাচ্ছে আর খাচ্ছে। এখানে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ সব খাবার নিরাপদ। খাদ্য নিরাপদ হলে খেয়ে কেউ অসুস্থ হয় না। নিরাপদ খাদ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া একদিনের কাজ নয়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া খাদ্য কার্নিভালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সেলিব্রিটি বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরদৌস বলেন, অনেক সময় না দেখে, না বুঝে বাজার থেকে খাদ্য কিনে আনি। সেই খাবারে কি কি উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে তা আমরা জানি না। যে খাদ্য কেনা হচ্ছে সেটা পরিবারের জন্য কতটুকু নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জনসচেতনতার জন্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এক সময় খাদ্যে ভেজাল দেব না। ভেজাল খাদ্য কাউকে খাওয়াব না। এক্ষেত্রে আমাদের শতভাগ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। আমি ভাজাপোড়া খাবার খায় না। তবে যেকোন সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করি। তবে আমাদের জন্য যেগুলো হারাম সেগুলো খায় না।
চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা বলেন, আমি করোলা খেতাম না। যখন আমাকে বোঝানো হলো যে করোলা ভালো। তারপর থেকে এক বাটি করোলা দিলেও খেতে পারি। এখন খেতে কোনো সমস্যা নেই। নিরাপদ যেকোনো খাদ্য খেতে পারি।
কার্নিভালের শেষ দিনে ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে শুরু হবে পিঠা প্রতিযোগিতা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজিন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ প্রদর্শনী শেষে শুরু হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির।
কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে আকিজ, প্রাণ, কোকাকোলাসহসহ বিভন্ন প্রতিষ্ঠান।
ফুডকার্নিভালে ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের শালিক, মুক্তাগাছার মন্ডা, রাজশাহীর কালাই, কুমিল্লার মাতৃভান্ডার, বগুড়ার দই, চট্টগ্রামের মেজবান প্রভৃতি। সেইফ ফুড কার্নিভাল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। যেসব স্টল ভালো করবে, তাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানায় আয়োজক সংস্থা।
মন্তব্য করুন