মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয় সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। সময় কত মূল্যবান ঢাকার মানুষ সেটি এখন বুঝতেছি। এ রুটে যারা যাতায়াত করে এখন তাদের দুই তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি আনন্দের। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক সেটি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মতো এরকম একটি পরিবহন না পায় সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী পরে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সচিবালয় স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১৬ মিনিট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেত। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানযটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন মেট্রোরেলে যাতায়াত করে।
তিনি বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে ঢাকার পরিবেশ সুন্দর হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠানের এফডিআর আছে ৮০০ কোটি টাকা। সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন