কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেট্রোরেল ঠেকাতে ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল : খালিদ মাহমুদ

সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয় সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। সময় কত মূল্যবান ঢাকার মানুষ সেটি এখন বুঝতেছি। এ রুটে যারা যাতায়াত করে এখন তাদের দুই তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি আনন্দের। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক সেটি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মতো এরকম একটি পরিবহন না পায় সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী পরে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সচিবালয় স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১৬ মিনিট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেত। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানযটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন মেট্রোরেলে যাতায়াত করে।

তিনি বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে ঢাকার পরিবেশ সুন্দর হয়ে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠানের এফডিআর আছে ৮০০ কোটি টাকা। সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

রবিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনাল্সে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

১০

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

১১

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

১২

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

১৩

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১৪

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১৫

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

১৬

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৭

লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন টুকু

১৮

কলেজ অধ্যক্ষকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

১৯

প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া উচিত : মেজর হাফিজ

২০
X