প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তিন দিন পার হলেও অভিযুক্ত কেউ এখনও ধরা পড়েনি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ ও নগদ অর্থসহ প্রায় সোয়া ৩ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ওই দুই সাংবাদিক হলেন- নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাব-এডিটর মরিয়ম রিমু এবং একটি জাতীয় দৈনিকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (ডিজিটাল মিডিয়া) টিপু সুলতান।
ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক টিপু সুলতান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকার সিদ্দিকের বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই বছর ধরে ভাড়া থাকেন ভুক্তভোগী পরিবার। দুজনেই চাকরি করায় গত ১১ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বাসা তালাবদ্ধ করে বাইরে বের হন এই দম্পতি। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখতে পান ফ্ল্যাটের মূল দরজা খোলা। বাসার ভেতরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান সব রুমের তালাভাঙা এবং সবকিছু ছড়ানো ছিটানো। এ সময় বাসা রেখে যাওয়া এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, নাকফুল, স্বর্ণের আঙটি খোয়া যায়। যার মূল্য এক লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া একটি ল্যাপটপ, একটি নোটবুক, একটি কম্পিউটার এবং নগদ টাকা খোয়া যায়। তাদের ধারণা, সব মিলিয়ে অন্তত তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে। দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী জানান, যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ৩ দিনেও চুরির মালামাল উদ্ধার কিংবা জড়িতরা কেউ ধরা পড়েনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাড়ির মালিক আবু বকর সিদ্দিক জানান, ফুটেজ পেয়েছি, দুপুর ৩টার দিকের ঘটনা। এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জড়িদের যে কোনো মূল্যে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই পুলক কুমার দাস মজুমদার বলেন, তদন্ত চলছে। দ্রুতই আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন