রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাইপের বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. মাসুম মিয়া (২৫)। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মহাখালীর আগুনের ঘটনায় মো. মাসুম মিয়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন। তার শরীরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল, শ্বাসনালী দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হরো।
দগ্ধ অন্যদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ), দুজনকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। অন্য একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে। নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মো. আমির হোসেন (৩২) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে মহাখালীর ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল খায়ের (৪০) নামের একজন মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ ও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে সালাউদ্দিন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মহাখালীর আগুনে দগ্ধ আটজন হলেন- মো. মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৪৫), মো. আমির হোসেন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুনের শরীরের ৫ শতাংশ, রানার ৫ শতাংশ, জীবনের ৮ শতাংশ, সালাউদ্দিনের ৬৫ শতাংশ, আমিরের ৩৫ শতাংশ, কামালের ১৫ শতাংশ, আবুল খায়েরের ১৫ শতাংশ এবং মাসুমের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
মন্তব্য করুন