ঈদ মানেই আনন্দ, হৈ হুল্লোড়। ছোটদের ছোটাছুটি, এখানে সেখানে ঘোরাঘুরি। গ্রামে ঘোরাঘুরির পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও শহরের একমাত্র ভরসা বিনোদনকেন্দ্র। ঈদ উপলক্ষে বিনোদনকেন্দ্রতে ভিড় লেগেই থাকে। এবারও এসব কেন্দ্রে বিনোদনপিপাসু মানুষের ব্যাপক বিচরণ থাকবে বলে আশা করা যায়।
রাজধানীতে ঈদকে সামনে রেখে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানার ভেতরের রাস্তায় সংস্কার করা হয়েছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা সেজেছে নতুন সাজে। বিভিন্ন পশুর সেডে চলছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। এবারের ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখায় অন্তত এক থেকে দেড় লাখ দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি। ঈদ উপলক্ষে আমাদের পশুর শেড ও শেডের বাইরে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রেও ঈদের ভিড় সামাল দিতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান এবার বিনোদনকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা।
রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড (শিশু মেলা) ও হাতিরঝিল দর্শনার্থীদের কাছে অধিক জনপ্রিয়। এগুলো ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে রাজধানীর অদূরে অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক।
এ ছাড়াও এবার ঈদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল। বিগত ঈদুল ফিতরে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে দর্শনার্থীতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসেন মেট্রোরেলে ভ্রমণসহ ঈদ আনন্দে উপভোগ করতে।
ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডে দর্শনার্থীদের জন্য ৪০টি রাইডার রয়েছে। যার মধ্যে ১৫টি রাইডার সবাই চড়তে পারলেও বাকিগুলো কেবল শিশুদের জন্য। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে খোলা থাকবে ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড। প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।
মন্তব্য করুন