রাজধানীতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর এতে আগুন ধরে যায়।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের ওয়ান স্টার হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি অটোরিকশাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের দেয়ালঘেঁষে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা একটি ককটেল এসে এর সামনের গ্লাসে পড়ে। মুহূর্তেই গ্লাসটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অটোরিকশাতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন দ্রুত আগুন নেভায়।
এদিকে হরতাল শুরুর আগের রাতেই রাজধানীতে ৫টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তালতলায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে কোমল পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর তালতলায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় থেকে বসিলার মাঝে সড়কে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরের কালশী এলাকায় বসুমতী পরিবহনের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নির্বাপণ করে।
এর আগে ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে সাভার থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করে।
এদিকে ঢাকার বিহেরও দুটি পরিবহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও চান্দগাঁও এলাকায় একটি বাস ও একটি মিনি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন একই দল। এটি ছিল বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যায়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়। প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা।
মন্তব্য করুন