দেড় বছর পর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় নান্দনিক ফুটওভার ব্রিজ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল এই ওভারব্রিজ। দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশের পাশাপাশি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পথচারীদের চলাচলের জন্য স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বা এস্কেলেটরের দাবি তুলেছেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারীরা। সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজটি হকারদের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তারা বলেন, গত বছর মে মাসে ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি ১৩২ ফুট লম্বা ও প্রায় ১৮ ফিট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের চিত্র উপভোগ করতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে।
ফুটওভার ব্যবহারকারী এক পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়ায় ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রশস্ত ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে আধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।
জুয়েল নামের আরেক পথচারী বলেন, ফার্মগেট একটি ব্যস্ততম এলাকা। এই ফুটওভার ব্রিজটি বহু মানুষ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মূলত রাজধানীর এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় এই ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতেও ছিলেন পথচারীরা। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগলেও বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়।
ব্রিজটি নির্মাণে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। আর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হলেও পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ এরও সুবিধা রাখা হবে।
মন্তব্য করুন