সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্লকেড করা হয়। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের অবস্থান দেখতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এসেছিলেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোনো ম্যাসেজ দেননি। সে ছাত্রপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং তাদের দাবি-দাওয়া শুনেছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ম্যাসেজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ৮ তারিখের পরীক্ষা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। ৮০ ঘন্টা অনশন থাকা অবস্থায় তাদের ৩ জন ভাইকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) নেওয়া হয়েছে। আসিফ মাহমুদ সজীবকে যখন তাদের অনড় অবস্থানের কথা জানানো হয়, তিনি আসিফ নজরুল ও পিএসসির চেয়ারম্যানকে জানানোর কথা বলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী গত ২৪ এপ্রিল থেকে অনশন করছেন। সরকারি চাকরিতে সংস্কারের দাবিতে সরকারকে তারা যে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন, তার মেয়াদ শেষ হয় আজ।
অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন- ‘জুলাইয়ের অঙ্গীকার, পিএসসির সংস্কার’ এবং ‘যদি হয় প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন বারো মাস’।
তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নতুন করে তৈরি করা, প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া, নিয়োগে জটিলতা নিরসন এবং ৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশের পর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া। এ ছাড়া তারা খাতা মূল্যায়নের গতি বাড়ানো, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পিএসসি কার্যালয়ে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা চালু করা এবং অধ্যাদেশ জারি করে পিএসসির সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে বৃদ্ধির দাবি জানান।
এর আগে পিএসসির সংস্কার চেয়ে চতুর্থ দিনের মতো অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আসেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসিফ মাহমুদের সঙ্গে কথা বলার পরই আন্দোলনকারীরা শাহবাগ অবরোধ করেন।
মন্তব্য করুন