নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনজীবনে স্বস্তি আনতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ‘জনতার বাজার’ নামে ন্যায্যমূল্যের বাজার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জনতার বাজার-২ উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এই ধরনের বাজার করা চ্যালেঞ্জিং। দেশে যে স্থানে পণ্যের দাম কম থাকবে সেখান থেকে পণ্য এনে জনতার বাজারে কম দামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আলাদা কোনো দোকান হবে না। আগামীকাল শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু হবে। বাজারের দামের চেয়ে উল্লেখযোগ্য কম দামে বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো পাইকারি বিক্রি হবে না, খুচরা বিক্রি করা হবে। ভোক্তা নিদিষ্ট পরিমাণ পণ্য নিতে পারবেন। ঢাকা শহরে ৬/৭টি জনতার বাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার (উপপরিচালক) মুহাম্মদ শওকত আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ)শামীম হুসাইন, ড. শাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকি, লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল হক,কামরাঙ্গীরচর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম রোধ এবং ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রয়ের জন্য এই বাজারের যাত্রা। এর আগে মোহাম্মদপুর উদ্বোধন করা হয়েছে, আজকে কামরাঙ্গীরচরে ‘জনতার বাজার-২’ নামে আরেকটি বাজার চালু করা হলো। দুই বাজারে চাল, ডাল, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, শাক-সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি মজুত ব্যবস্থাপনা ও রিয়েল টাইম মূল্যের তথ্য প্রদর্শনের জন্য একটি আধুনিক সফটওয়্যার চালু করা হবে।
তারা আরও জানান, বাজার দুটিতে ভালো সাড়া পাওয়া গেলে ঢাকার বাড্ডার বড় বেরাইদ বাজার, গুলশানের ঢেলনা মসজিদ মাঠ এবং ডেমরার সারুলিয়া বাজার এলাকাতেও এ ধরনের বাজার চালু করা হবে। এই বাজারে পাইকারি ভিত্তিতে কোনো পণ্য বিক্রয় করা হবে না। সাধারণ ক্রেতারা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন