জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা দখলে রাখা এবং সীমান্ত অতিক্রমের আকাঙ্ক্ষায় গণহত্যা চালানো ভয়ংকর ও বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, গাজায় যা সংঘটিত হচ্ছে, তা বিশ্বসভ্যতার কলঙ্ক। গণহত্যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও অমানবিক অপরাধগুলোর একটি। বিশ্বের ইতিহাসে হলোকাস্ট, রুয়ান্ডার গণহত্যা, বসনিয়ার হত্যাযজ্ঞ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা এর নির্মম উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জেএসডি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, গণহত্যায় জড়িত সকল শক্তিকে প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের পর ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীতে গণহত্যার চেয়ে বড় আর কোনো পাপ নেই। ইসরাইল দিনের পর দিন গণহত্যা সংঘটিত করে গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে অথচ বিশ্বরাজনীতি দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার ইসরায়েলি এই বীভৎস রাজনীতি স্তব্ধ করে দিতে না পারলে বিশ্ব রাজনীতিকে তার খেসারত দিতে হবে। অচিরেই নির্মম গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ন্যায়সংগত অধিকার ও সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে গাজায় রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব জাগরণের কারণে দ্রুতই গণহত্যাকারী সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে। এখন গণহত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করাই হবে কর্তব্য। মানবাধিকার রক্ষায় সকলের দায়িত্ব থাকা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো জাতিগোষ্ঠী এ ধরনের নৃশংসতার শিকার না হয়।
জেএসডির ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফাতেমা হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারেফ হোসেন, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, আবদুল্লাহ আল মামুন, এম এ আউয়াল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন