ঈদের মতো বড় উৎসবের ছুটিতে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা বেড়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এবং সড়কে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৯টি সুপারিশ জানিয়েছে তরুণরা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরে সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সুপারিশগুলো জানানো হয়েছে। আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ইয়ুথ ফোরামের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা তরুণদের ৯ সুপারিশ তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটির জাকিয়া মাইশা ও নিশাত তারান্নুম, এ.এফ.এম সাদমান সাকিব, বাংলাদেশ ডিবেড ফেডারেশনের ইশতিয়াক ইমন, মিশন গ্রীন বাংলাদেশের আহ্সান রনিসহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী।
সুপারিশগুলো হলো- দেশের সড়ক ও যানবাহনের পরিস্থিতির কথা ভেবে নিরাপদ গতি নির্ধারণ করা উচিৎ এবং এই সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন অতিদ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি ঈদে মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা মেনে চলতে সকলকে বাধ্য করতে হবে। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই ঈদে চলাচলে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। চালকদের কর্মঘণ্টা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন, টেম্পুসহ সকল প্রকার ব্যাটারিচলিত যানবাহন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করতে হবে। মদ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে যাতে গাড়ি না চালায় সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে এবং এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। ঈদযাত্রায় যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অতিদ্রুত এ সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিবহনের পাশাপাশি পথচারী পারাপার ও তাদের নিরাপদে চলাচলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি, বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রোড সেফটি বিষয়ে মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠিত ৪র্থ গ্লোবাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ২০২৭ সালের মধ্যে সেইফ সিস্টেম এ্যাপ্রোচের আদলে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
মন্তব্য করুন