ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ বছর একালের তীব্র জলজটের আশঙ্কা করছি। তাই বর্ষার পূর্বে সর্বোচ্চ পানি নিষ্কাশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ আগামী বর্ষার মৌসুমে এ এলাকার মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের সংলগ্ন আশকোনা রেলগেট ও এর আশপাশের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন রাতারাতি করা সম্ভব নয়, তবে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন এ জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সর্বনিম্ন রাখা যায়।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এয়ারপোর্ট-আশকোনা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন একযোগে কাজ করবে।
প্রশাসক আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বড় বড় শহুরে বন্যা থেকে নিরসনের জন্য জলাধার একান্ত প্রয়োজন। তাই, সব উন্নয়নকারী সংস্থাকে অনুরোধ করব যেন জলাধার ভরাট না করে। একান্ত করতে হলে প্রকল্প শেষে যেন সেটা জলাধার হিসেবে ফিরিয়ে দেয়। কোনো ভাবেই সেগুলোতে মাঠ, বাজার কিংবা বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
পরিদর্শনকালে অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন