সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের নামে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব বলেছেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিজি প্রেস ইউনিট-বিএনপি ২৪ নং ওয়ার্ড আয়োজিত এক ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের বিচার আমরাও চাই, দেশের মানুষও চায়। তবে একটি গোষ্ঠী সরকারের ভিতরে থেকে ক্ষমতার মোহে পরে গেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতেই তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। তবে ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে।
নীরব বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।মানুষ ভোট দিতে চায়। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করুন। যাতে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই নির্বাচন জরুরি মন্তব্য করে সাবেক এই যুবদলের সভাপতি আরও বলেন, বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব না। তাই দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতন পর এই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তারাও এখন সন্তোষজনক নয়। তাই বলছি, যতটুকু সংস্কার শেষ করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে নীরব বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র চলছে। তার মধ্য দিয়ে সজাগ ও সতর্ক থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারংবার বলেছেন, ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
তারেক রহমান দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং রাজনৈতিক সহবস্থান নিশ্চিত করতে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে সংস্কার চলছে। আমি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, ৩১ দফা দেখেন- এখানে সংস্কারের সব বিষয়ই উল্লেখ আছে। শুধু সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছানোর যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। যে কাজটি ৭ দিনে করা সম্ভব সেটি কেনো সাত মাস সময় লাগাবে, যে কাজ একদিনে সম্ভব সেটি কেনো একমাস লাগাবে?
অনুষ্ঠানে ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি' সহ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন