নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন দৈনিক কালবেলার অপরাধ বিষয়ক নিজস্ব প্রতিবেদক সুশোভন অর্ক।
শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে পল্টন মোড়ে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে তলপেট, হাত ও পায়ে আঘাত পান তিনি। এ সময় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুশোভন অর্ক বলেন, হিযবুত তাহরীরের মিছিলটি বিজয়নগরের পানির ট্যাংকি মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে এলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এর একটি সাউন্ড গ্রেনেড আমার পায়ের কাছে বিস্ফোরিত হয়। পেটে ব্যথা অনুভব করলে হাত দিয়ে দেখি রক্ত ঝরছে। সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
কালবেলার অপরাধবিষয়ক আরেক প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, অর্কর তলপেটের আঘাতটি গভীর হওয়ায় চিকিৎসক এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করে দেখতে পান, ভেতরে শক্ত কিছু আটকে নেই। পরে ক্ষত অংশটি পরিষ্কার করে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অর্কর ডান হাত ও ডান পায়ের আঘাত গুরুতর নয়। তাকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন চিকিৎসক।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে ‘মার্চ ফর খিলাফত’ মিছিলের কর্মসূচি ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের। এই কর্মসূচি প্রতিহত করতে শুক্রবার সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দাদের নিরাপত্তা বলয় ছিল বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায়। নামাজ শেষে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেই বাধা পেরিয়ে মিছিল করে হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, মিছিলটির শেষাংশ পল্টন মোড় পার করলে পেছন থেকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ, লাঠিচার্জও করা হয়। মিছিলের সামনের অংশ বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকা ঘুরে পল্টন মোড়ের দিকে আসলে ফের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশের সদস্যরা। এর একটি সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে আহত হন কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক সুশোভন অর্ক।
মন্তব্য করুন