কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আজও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছেন দুই নারী। পুরোনো ছবি
বায়ুদূষণের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছেন দুই নারী। পুরোনো ছবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। গতকালও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর ছিল।

অন্যদিকে ১৯৮ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সেনেগালের ডাকার। ১৮৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতে দিল্লি, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান, যার স্কোর ১৮১ এবং ১৭৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি।

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেন খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা হয়?

জাতীয় পতাকা নিয়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণে দুই হাফেজ

গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ

সিলেটে মোটরসাইকেল-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আ.লীগসহ সবার তদন্ত হবে : শামসুজ্জামান দুদু

এস আলম পরিবারের আরও ৮১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

‘শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছিল’

নিষিদ্ধ পল্লী থেকে সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

রাজকে উদ্দেশ্য করে পরীর ঘৃণায় ভরা স্ট্যাটাস

১০

বগুড়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১১

জীবন বাঁচিয়েছিলেন একটি পাখির, তারপর যা ঘটল...

১২

পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে খুন করলেন চতুর্থ স্ত্রী

১৩

চমেকে ৫ দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৪

শেরপুরে মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত ২, আহত ৬

১৫

গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ

১৬

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

১৭

কৃষি সচিব ও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অপসারণ দাবি

১৮

অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে বিতর্কিত কাণ্ড, আইসিসিকে পাকিস্তানের চিঠি

১৯

বিদেশি পিস্তলসহ ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

২০
X