রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা ও জরিমানার নির্দেশনার প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
এদিন সকালে রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা জানিয়েছেন, মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে সিএনজি বা পেট্রল চালিত অটোরিকশার চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে- বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জানিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করেছেন।
এর আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএ পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া নিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পত্রে বলা হয়, গ্যাস বা পেট্রল চালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা রুজু করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পত্রে আরও বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যে কোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক এক পয়েন্ট কর্তন করার বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা এবং ওয়েটিং বিল প্রতি মিনিটে দুই টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, রাজধানীর সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা ১৫০ টাকার নিচে কোথাও যান না।
মন্তব্য করুন