ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের শেষ দিন আজ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)) এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ মেলার পর্দা নামবে।
এদিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষমুহূর্তে এসে জমে উঠেছে। ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন অফার দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে অন্তত আরও একদিন মেলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে এ বছর মেলার সময় না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।
এ বছর মেলায় বেচাবিক্রি কেমন হয়েছে তা সমাপনী অনুষ্ঠানে বিস্তারিত জানানো হবে। বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেয়।
মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছিল ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’। এছাড়া দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয় ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।
বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয় প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় ছিল শিশুপার্ক।
মন্তব্য করুন