বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দুই সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে আশপাশের শহরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কাজ চলছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজউক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপে) নির্মাণ বিধিমালা নিয়ে জটিলতা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে। রাজধানীর আশপাশের শহরগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে ঢাকার ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, রিহ্যাব সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া, সহসভাপতি ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আক্তার বিশ্বাস, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মুক্তাদির প্রমুখ।
আবাসন মেলা ঘুরে মেলার উদ্বোধনের পর থেকে আসতে থাকেন গ্রাহক-দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পরও ক্রেতা-দর্শনার্থীর দেখা মিলেছে।
মেলায় কথা হয় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাজিব আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আবাসন মেলায় সাধারণত বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বড় ধরনের অফারের কারণে মূলত মেলায় আসা। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের অফার দেখছি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
নাভানা থেকে শুরু করে শেলটেক, এসিউর, এবিসিসহ বড় কোম্পানির ভিড়ে রয়েছে ছোট ছোট কোম্পানিও। তবে সাধারণত বড় বড় কোম্পানির তুলনায় ছোট কোম্পানিগুলোর ফ্ল্যাটে তুলনামূলক অফার বেশি এবং দামও কম।
মেলায় স্টল ৯৯ নং -এ কথা হয় ইসহাক ডেভোলাপার্সের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাত আফজা লুবনার সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে উত্তরা থার্ড ফেজে বেশকটি প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। মেট্রোরেলের কারণে যাতায়াতও খুব সহজ। সাধ্যের মধ্যে যাতে মানুষ ফ্ল্যাট কিনতে পারে সেই বিবেচনা মাথায় নিয়ে ১৪শ স্কয়ার ফিট থেকে ২১শ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট রয়েছে। আর মেলা উপলক্ষে বুকিং দিলে ৫ লাখ পর্যন্ত অফার দিয়েছি। আর আমরা ১৮ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। যথাসময়ে গ্রাহককে ফ্ল্যাটের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া এবং মানের বিষয়ে কোনো আপস আমরা করি না। আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বিআইসিসিতে রিহ্যাব আয়োজিত এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিচ্ছে। ২০০১ সাল থেকে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত রিহ্যাবের ২৬তম ফেয়ার।
এসব ফেয়ার আয়োজনের মাধ্যমে রিহ্যাব দেশ ও বিদেশে গৃহায়ন শিল্পের বাজার সৃষ্টি এবং তা প্রসারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে। অন্যদিকে প্রবাসী ক্রেতারা দেশে তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন। আবার এই ফেয়ারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গৃহায়ন শিল্প এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে এ ফেয়ার।
এবারের রিহ্যাব ফেয়ারে ২২০টি স্টল। এই ফেয়ারে ৫টি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ১০ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন