মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে খ্রিষ্টযাগ ও বিশেষ প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে এ অনুষ্ঠান হয়।
খ্রিষ্টযাগ ও প্রার্থনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এর সভাপতি নির্মল রোজারিও, মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, যুগ্ম মহাসচিব জেমস্ সুব্রত হাজরা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জন অরুনেশ বাড়ৈ, কার্যনির্বাহী সদস্য ভিক্টর রে, যোসেফ স্বপন চৌধুরী, রাজকুমার মন্ডল, সেন্টু ঘোষ, সাইমন হালদার।
এছাড়াও সিস্টার নিবেদিতা রিবেরু, ঢাকা খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের পরিচালক নিরাপদ হালদার, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মলয় নাথ, ক্রেডিট কমিটির সেক্রেটারি মোশী মন্ডল, ঢাকা ক্রেডিটের ভারপ্রাপ্ত সিইও জোনাস গমেজ সহ খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং খ্রিস্টভক্তগণ ছিলেন।
খ্রিষ্টযাগের পর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। এই দিনেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম লেখা হয়। যাদের কারণে আমাদের এই অর্জন, তাদের কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। আজ আমাদের বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি, বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সব সদস্যের পক্ষে তাদের প্রতি আমরা জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
মন্তব্য করুন