কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বায়ুদূষণে ঢাকা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

বায়ুদূষণের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। পুরোনো ছবি
বায়ুদূষণের মধ্যে রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। পুরোনো ছবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ৩৫৪। এ স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, এই শহরের স্কোর ২২৯। ২২২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর।

একই সময়ে ২০৬ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি। এ ছাড়া ২০৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৩০ দিন পর চালু হলো শেরপুর জেলা কারাগার

৪ মাসেও হামলাকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি জাবি প্রশাসন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নতুন মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‘ইন্ডিয়ার দালাল প্রতিনিধি এদেশে বরদাশত করব না’

পাকিস্তান দলের সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি গিলেস্পির

গাজার ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে, ‘মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে’

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

এবার ট্রাম্পের অভিষেক তহবিলে জাকারবার্গের ১০ লাখ ডলার

কাসপারভকে টপকে দাবায় ইতিহাস গড়লেন গুকেশ

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১০

৫০ মিটারেও ইতিবাচক রাফি-যূথী

১১

‘জামায়াতের কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-ধর্ষণের অভিযোগ নেই’

১২

ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে প্রত্যাশার কেন্দ্রে থাকছেন গালিব

১৩

জুলাই আন্দোলনে আহতদের বেশিরভাগ মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন : গবেষণা

১৪

ভারতের যেসব ঘটনা বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার

১৫

চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি বহাল

১৬

‘লাইব্রেরিতে সব ধর্ম ও মতাদর্শের বই থাকতে হবে’

১৭

অনির্দিষ্টকালের জন্য সংস্কার নয় : শেখ বাবলু

১৮

সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে : প্রিন্স

১৯

গ্রামীণফোনের নতুন সিএমও নাজ, সিপিও সোলায়মান

২০
X