রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) একটি দল অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারিদের হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন সিপাই মো. সায়েদুল ও এসআই আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের ৭ নম্বর রোডের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ডিএনসির উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডি সার্কেল পরিদর্শক শাহজালাল খানসহ ৫ জনের ফোর্স কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে একটি বাসা ঘেরাও করে। পরিদর্শক শাহজালাল ভবনটির কেয়ারটেকার রিপন মিয়া ও বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া হেলাল মিয়ার উপস্থিতিতে তল্লাশি করে ঘরের মধ্যে থেকে ১ কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ২৬ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করেন।
তিনি আরও বলেন, সে সময় মাদক কারবারি মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী মাদক কারবারি রুবেলের ছোট ভাই সবুজ, মো. হাসান, কালা ওরফে শাওন, শাকিল ওরফে চিকু শাকিলসহ আরও ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আকস্মিকভাবে পরিদর্শক শাহজালাল খানসহ ৫ জন ফোর্সের উপর হামলা করে সিপাই মো. সায়েদুল ও এসআই আব্দুস সাত্তারকে গুরুতর আহত করে।
অভিযানে যাওয়া দলটিকে উদ্ধারের বর্ণনা দিয়ে উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পরিদর্শক শাহজালাল খান মোবাইল ফোনে মোহাম্মদপুর থানার ওসি এবং বসিলা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে জানিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। বসিলা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন তাহসিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল, মোহাম্মদপুর থানার এসআই নাছিমের নেতৃত্বে একটি দল এবং ডিএনসির রমনা, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর সার্কেলের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সিপাই সায়েদুল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এসআই আব্দুস সাত্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্রামে আছেন।
সরকারি কাজে বাধাদান ও হত্যা চেষ্টায় চিহ্নিত ৬ জনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় ফৌজদারি মামলা এবং উদ্ধার করা মাদকের বিষয়ে মাদক কারবারি রুবেল ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা বা এজাহার এখনো করেনি। এজাহার দায়ের করলেও মামলা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মন্তব্য করুন