ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, থানা হবে নগরবাসীর জন্য পুলিশের সার্ভিস সেন্টার। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপিতে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৮তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারের সভাপতিত্বে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, থানা হলো জনসাধারণকে সেবা দেওয়ার মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আগত একজন ব্যক্তিও যেনো সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নগরবাসীরা যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় যেতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও তাদের কথা শোনা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না।
সভায় উপস্থিত ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ব্যবহারে হতে হবে বিনয়ী কিন্তু আইন প্রয়োগে হতে হবে দৃঢ়।
মতবিনিময় সভায় কমিশনার বর্তমান সময়ে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন