রাজধানীর শান্তিবাগে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বের প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. ইসমাইল হোসেন রাহাত (১৭)। রাহাত ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ঘাটপাড়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে। পড়াশোনা করতেন ফরিদপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগে। তিনি শাজাহানপুরের শান্তিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রাহাতের বাবা বেলায়েত হোসেন জানান, সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে শান্তিবাগ এলাকার হাসান, হোসেন, সিয়াম ও তন্ময়সহ কয়েকজন বখাটে কিশোরের সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে রাহাতের কথাকাটাকাটি হয়। একই বিষয়ে আগেও বেশ কয়েকবার কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে বখাটেরা প্রথমে রাহাতকে মারধর করে। পরে তারা ধারালো ছুরি দিয়ে সিয়ামের পিঠে কয়েকটি আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যাই। তারপর বাসায় গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই রাহাতকে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর রাতে আমার ছেলে মারা যায়।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ভোর রাতের দিকে কাকরাইলের ওই হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পারি সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
মন্তব্য করুন