রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে বেড়িবাঁধের পাশে নির্মাণাধীন ভাগাড় অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন সেই ভাগাড়ের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান তারা।
ওই ওয়ার্ডের বেগম শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব সরকারি কলেজ ও মাহাতাব পেট্রল পাম্পের মধ্যবর্তী স্থানে ওই ভাগাড় নির্মাণাধীন।
স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় ইতোমধ্যে একটি আধুনিক ভাগাড় রয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কম জনবসতিপূর্ণ এলাকার সেই ভাগাড় ভেঙে নতুন করে পাশের বেশি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আরেকটি ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করছে। এতে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে, অপর দিকে জনজীবনে ভোগান্তি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধনে ওই এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ভাগাড়ের ১০০ গজের মধ্যে একটি পেট্রল পাম্প, একটি সরকারি কলেজ, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ, দুইটি মাদরাসা, একটি সরকারি হাসপাতাল, একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসসহ নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি এলাকটিও জনবসতিপূর্ণ একটি আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
আরেক বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, নির্মাণাধীন ভাগাড়টির পাশেই বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি কলেজ রয়েছে। যেখানে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। ভাগাড় লাগোয়া জায়গায় রাজউক অনুমোদিত দশতলা একটি আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। যেখানে প্রায় ৬০টি পরিবার তাদের স্বজনদের নিয়ে বসবাস করবে। অথচ এর মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছে ময়লার ভাগাড়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওই এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, প্রায় ২ মাস আগে নতুন করে স্কুল-কলেজের পাশে ভাড়ার নির্মাণ শুরু করে সিটি করপোরেশন। আমরা সিটি করপোরেশনে এ ময়লার ভাগাড় নির্মাণ না করার আবেদন করলেও তারা সেটি আমলে নেয়নি। এমনকি আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, আবাসিক এলাকায় ভাগাড় নির্মাণে তাদের কাছ থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়নি সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় আন-নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নূরুজ্জামান বলেন, নির্মাণাধীন এ ভাগাড়ের পাশেই একটি মসজিদ ও দুইটি মাদরাসা আছে। প্রতিদিন এলাকার মানুষ সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যান। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা নেয়। এখন সেখানে ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করলে মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মো. রিয়াদুল ইমাম, শিক্ষক নূরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন