জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নিপসমের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকা মহাখালী প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবমহোদয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিপসমের পরিচালক ও সকল অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে সংক্রামক, অসংক্রামক রোগ ও পরিবর্তিত পরিবেশে ইমার্জিং রি ইমার্জিং রোগের ওপর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ৮টি গবেষণাপত্রের উপস্থাপন ও আরও ৮টি গবেষণাপত্রের পোস্টার উপস্থাপিত হয়। এ গবেষণাপত্র উপস্থাপনের একটি সেশনে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কীটতত্ত্ব বিভাগ নিপসম।
গবেষণাপত্রে বর্তমানে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে এডিস মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করন, রোগীর কন্টাক্ট ট্রেসিঙ্গ এর মাধ্যমে প্রকৃত সংক্রমিত মশার আস্তানা ক্রাশ প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ধ্বংস করা বিষয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে। নিপসম সবসময়ই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নিপসমের কীটতত্ত্ব বিভাগ বর্তমান ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে এডিস মশার দমনে নিরলস ভাবে গবেষণা করে যাচ্ছে। এই বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. ছারোয়ার নূন্যতম বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বা ইনসেক্টিসাইডের ওপর জোর দিয়ে পরিবেশ বান্ধব ও জৈবিক দমনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তবে তার জন্য অবশ্যই প্রকৃত প্রজনন স্থল চিহ্নিত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মন্তব্য করুন