হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি গঠন করেছে আজিজ কো অপারেটিভ সুপার মার্কেটের একটি চক্র। গত ৩ অক্টোবর আদালতের রায় না মেনে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে চক্রটি।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে নাজমুল আহসান নাজু সভাপতি এবং মো. আলমগীর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ১৭ জন করে দুটি প্যানেল এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে দীর্ঘ সময় পার হলেও অজানা কারণে আর নির্বাচন হয়নি।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
এ নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন হয়। পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে সময় বেধে দেন। কিন্তু গত ২৮ সেপ্টেম্বর মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে একটি পক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক বডি (আহ্বায়ক কমিটি) গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
পরে ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক ৩ অক্টোবর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। যেখানে হাইকোর্ট আগেই রায় দিয়েছেন ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে। কিন্তু সে রায় আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন না করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গঠিত কমিটির আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ছানাউল্লাহ শিশির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দোকান মালিক অভিযোগ করেন, ২৮ সেপ্টেম্বর যে মতবিনিময় সভার কথা বলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এমন কোনো কিছু হয়নি। বরং ব্যবসায়ীদের থেকে নির্বাচনের জন্য স্বাক্ষর নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন না করে নিজেদের প্রভাবে তারা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে যারা আছেন তারা কেউই দোকান মালিক না। তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে কমিটির আহ্বায়ককে ফোন দিলেও রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল ইসলামের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা ও কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন