চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৪৫ জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর তাদের ঢাকা উদ্যান ও আশপাশের এলাকা থেকে আটক করার পর সেনাবাহিনীর বছিলা ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।
বছিলা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর বারী জানান, সম্প্রতি ঢাকা উদ্যান, বছিলায় ছিনতাই ডাকাতির সঙ্গে জড়িতরাও আটক হয়েছে। অভিযান চলমান আছে, অভিযান শেষে যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- আলাউদ্দিন আমিন (২৭), শফিক (৩২) ও শিশু সাজ্জান (৮)।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শফিক এবং সাজ্জানের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আহত অবস্থায় আলাউদ্দিন আমিন জানান, তিনি জেনেভা ক্যাম্পের এ ব্লকের বাসিন্দা। পেশায় সেলুনকর্মী। বাচ্চাকে নিয়ে চিপস কিনতে গেলে পেছন দিক থেকে আসা একটি গুলি লাগে তার পায়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে ভয়াবহ গোলাগুলি শুরু হয়। গুলির শব্দে তাজমহল রোড, বাবর রোড ও হুমায়ুন রোডের বাসিন্দারা ভয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। সন্ধ্যার পর থেকে গুলির শব্দে পুরো এলাকার দোকানপাট ও যান চলাচল থমকে যায়। থেমে থেমে রাতেও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেল ওরফে ভূঁইয়া সোহেল গ্রুপ ও পারমনু গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ভাষ্য, বেশ কিছু দিন ধরে এই সংঘর্ষ চললেও স্থানীয় থানা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর শক্ত কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিন দিন তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন