গত ২০ জুলাই টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমন (১৯) নামে এক তরুণকে গুলি করে গুরুতর আহত করার অভিযোগে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মতিউর রহমান মতিসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। মামলার বাদী আহত ইমনের মা টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার জরিনা বেগম।
মামলায় ১নং আসামি গাজীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং তার চাচা ২নং আসামি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বিকালে বাদীর ছেলে ইমন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার গেটের সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে ১ ও ২নং আসামির হুকুমে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের দুষ্কৃতকারী নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর লোহার রড, পাইপ, কাঠ ও বাঁশের লাঠি, ধারালো ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ সময় তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে ইমন দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী গুটিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসাধীন ইমনের জীবন আশঙ্কাজনক বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন