পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে বাস মালিকদের অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে পরিবহন নেতারা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর ৩৯৭টি বাস কোম্পানীর প্রতিনিধিসহ ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
বৈঠকে পরিবহন নেতাদের তুলে ধরা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাস্তায় বাস চেক না করে ছাড়া ও থামার দু’প্রান্তে সবকিছু দেখে চলাচলের অনুমতি দেওয়া, নির্দিষ্ট স্টপেজে থামানো, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অটোরিকশাসহ নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, ট্রাফিক সিস্টেম উন্নত করা, সে সঙ্গে দক্ষ চালক তৈরিতে পুলিশসহ বিআরটিএর পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা। এর বাইরে নগরীর সব বাস টার্মিনালে চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তারা বলেন, যৌক্তিক পর্যায়ে গণপরিবহন থেকে চাঁদা তোলা না হলে এ খাতে শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাসিক বেতনসহ অন্যান্য পরিচালন ব্যয় চালিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।
সড়কে শৃঙ্খলা মেনে চলতে রাজধানীর সব বাস মালিক সমিতিকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতা মোহাম্মদ খোকন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গণপরিবহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার।
বৈঠকে বলাকা পরিবহনের মোয়াজ্জেম হোসেন সরদার বলেন, রাস্তায় বাস থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করা হলে যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, বাস লক্কর-ঝক্কর হওয়ায় রেকার করা হয়। তখন দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তাই যেখান থেকে বাস ছেড়ে যায় বা গিয়ে থামে, সেই দুই প্রান্তে যানবাহনের সবকিছু পরীক্ষা করে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতৃত্বে গোটা পরিবহন খাত দ্রুত সময়ে নিয়মের মধ্যে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিকাশ পরিবহনের সোহরাব বলেন, সবার আন্তরিকতা না থাকলে পরিবহন খাতকে স্বাভাবিক নিয়মে আনা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন