বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অভিনেতা মাসুদ আলী খানকে তার গ্রীণ রোডের বাসায় দেখতে যান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ৯৩ বছর বয়সী এই অভিনেতার খোঁজখবর নেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) ।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ে নাটক ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান। অভিনয় করেছেন ৫ শতাধিক বাংলা নাটকে। তিনি একজন বাংলাদেশি টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ অভিনেতা। ২০২৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ২০২৪ সালে তিনি মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় কিছুকাল পড়াশোনার একটি অংশ শেষ করেন। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন।
তিনি ছোটবেলায় ক্লাস টুতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজায় ‘রানা প্রতাপ সিং’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি ‘ড্রামা সার্কেল’র সঙ্গে যুক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’। সর্বশেষ তিনি প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠুর নির্দেশনায় ‘জোনাকীর আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার টেলিভিশনের অভিষেক থিয়েটার ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও পরিচালক নাট্যগুরু নুরুল মোমেনের একটি নাটকের মধ্য দিয়ে। নাটকটির নাম ছিল ‘ভাই ভাই সবাই’। এটি একটি পদ্য নাটক এবং তিনি নায়ক ড. বশিরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
মন্তব্য করুন