রাজধানীর ডেমরার বর্জ্য অপসারণ নিয়ে দুপক্ষের হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যার সময় ডগাইর এলাকার বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বর্জ্য অপসারণের সব কাজ।
এতে করে বর্জ্য জমে ময়লার স্তূপে পরিণত হয় প্রতিটি বাড়ির আঙিনা। এসব বর্জ্য অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে মানুষ অভিযোগ করলে তিনি নিজ উদ্যোগে ময়লা (বর্জ্য) অপসারণ ব্যবস্থাগ্রহণ করে তার সচিব লিটুকে নির্দেশ প্রদান করেন, যাতে খুব দ্রুত বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য। এ দিকে শুক্রবার বিকেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকাদার নিলুফার ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে এসে দেখেন কিছু লোকজন বর্জ্য পরিবহনের ভ্যান গাড়ির রঙ পরিবর্তন করছিলেন। এ সময়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ওই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময়ে ফাহিম, তামিম, আমিনুল, রাসেল, মুন্না, রাকিব, জুয়েল, শান্তসহ ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ফাহিম ও তামিম গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন কালবেলাকে জানায়, আমি গত অর্থ বছরে ডিএসটিসি থেকে আবর্জনা অপসারণের টেন্ডার পাই। এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ডিএসসিসির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদের লোকজন ওই ব্যবসায়ীদের গ্যারেজে ৪৫টি ভ্যান গাড়িসহ তালা দেয়। এ বিষয়ে আমি শুক্রবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে লিটু সাউদ নামে একজনের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ বিষয়ে আমি ডেমরা থানাকে অভিহিত করেছি।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সাউদ কালবেলাকে বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পরে এরা গা ঢাকা দেয়। পরে বন্ধ হয়ে যায় বর্জ্য অপসারণের সব কর্মকাণ্ড। তখন এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী আমার প্রতিনিধিকে নিয়ে এলাকার কয়েকজন বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করার ব্যবস্থা নেয়। শুক্রবার হঠাৎ নারী কাউন্সিলর এসে প্রথমে হামলা করে। পরে প্রতিপক্ষদের সঙ্গে নারী কাউন্সিলরের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারি হয়। তবে গণ্ডগোলের সময় আমি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এলাকার বাইরে ছিলাম। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য অপসারণ ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষের বাধা প্রদানসহ নানা জটিলতার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন