বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে শুরু থেকেই উতপ্ত ছিল রামপুরা ও বনশ্রী এলাকা। গত ১৮ জুলাই রামপুরা টেলিভিশনে ভয়াবহ আগুন দিয়েছিল দৃর্বৃত্তরা। তারপর থেকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে সেনাাবহিনী বা বিজিবির সদস্যরা পাহারা দিচ্ছে ভবনটি। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে এই এলাকায় বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সেনা সদস্যরা।
সকাল সাড়ে ৭টায় দক্ষিণ বনশ্রীতে দেখা গেছে শুনশান নীরবতা। আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে গেল তিন থেকে চার দিন ধরে এই এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে। অথচ অতীতে কখনোই বনশ্রীর এতো ভেতরে বিক্ষোভ দেখা যায়নি। আন্দোলনকারীরা গত কয়েক দিন ধরে বনশ্রী মেরাদিয়া থেকে দক্ষিণ বনশ্রীর মাদারটেক পর্যন্ত রিকশাও চলতে দিচ্ছে না। রাস্তায় বিভিন্ন শ্লোগান লিখে রেখেছেন তারা। তবে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই রাস্তা ছিলো প্রায় জনশুন্য।
একটু এগোলেই মেরাদিয়া বাজারের ভেতরে অবস্থিত রামপুরা থানা। এই থানায়ও হামলা করেছিলো দৃর্বৃত্তরা। সেখানে সকালে পুলিশকে দেখা গেছে বাড়তি সতর্ক অবস্থায়। বনশ্রী থেকে রামপুরার দিকেও চোখে রয়েছে পুলিশের টহল গাড়ি। আর রাস্তায় পড়ে আছে বড় বড় গাছ ও গতকালের পুড়িয়ে দেওয়া ধ্বংসাবশেষ।
সকাল ৮টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকে অবস্থিত আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ছাত্রকে হাটাচলা করতে দেখা গেছে। তবে তারা আন্দোলকারী কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বনশ্রী এ ব্লকের সামনে ছিল টহলরত সেনা সদস্যরা। একটু সামনে এগোতেই দেখা গেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনকে চার দিকে থেকে ঘিরে রেখেছে সেনা সদস্যরা।
রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডার দিকে ইষ্ট ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির সামনে ছিল সেনাবাহিনীর সাজোয়া যান। তবে হাতিরঝিলের পরিবেশ শান্ত দেখা গেছে ।
মন্তব্য করুন