চলমান অসহযোগ আন্দোলনে সহিংসতায় রাজধানীর উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এ সময় তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিএনএস সেন্টার ও আজমপুর রাজউক কমার্শিয়ালের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে বিপরীত পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন। এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাবিব হাসান।
এদিকে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে ৬৮ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারফিউ পরিস্থিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের সব বিচারিত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে দেশের প্রধান বিচারপতি যেকোনো আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে বিচারকার্য পরিচালনার আদেশ দেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত থাকবেন।
এদিকে বিচারকার্য পরিচালনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মৎস্যভবন সংলগ্ন এলাকায় সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াত চৌধুরীসহ মোট চারজন বিচারপতির গাড়িতে ইট পাটকেল ছুড়েছে আন্দোলনকারীর্টে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন