জ্বালানিতে বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ ‘সংকট’। এ বছরই লোডশেডিং হয় রুটিন করে। জ্বালানি তেলের দামও এক লাফে রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়। বাড়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম। আবার এ বছরেই দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা আসে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। অন্যদিকে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ব্ল্যাকআউটের ঘটনাও ঘটে বিদায়ী বছরটিতে। ১৬ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশে রেকর্ড পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে গেলে আমদানি বন্ধ করে সরকার। এপ্রিলে দেশের অন্যতম বড় গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদনও বন্ধ হয়। এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
৫ জুন গ্রাহক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ঘনমিটারে ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করা হয়। আবাসিকে এক চুলার বিল ৯৯০ এবং দুই চুলায় ১ হাজার ৮০ টাকা হয়। প্রি-পেইড গ্রাহকদের জন্য দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৮ টাকা করা হয়।
৬ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। লিটারপ্রতি ডিজেল ৩৪ টাকা বেড়ে হয় ১১৪, কেরোসিন ১১৪, অকটেন ১৩৫ এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা হয়। ২১ মার্চ দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার উদ্বোধন করেন। ২৩ মার্চ শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে মংলা-মাওয়া-আমিনবাজার গ্রিডলাইনে প্রতিদিন ৬২০-৬৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইউনিটটি উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটির আগামী জুনে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।