কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ বছরে পাট রপ্তানিতে আয় কত, জানালেন নানক

সংসদ অধিবেশন (ইনসার্টে জাহাঙ্গীর কবির নানক)।
সংসদ অধিবেশন (ইনসার্টে জাহাঙ্গীর কবির নানক)।

২০১৩-১৪ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১০ বছরে পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসনের সরকার দলীয় এমপি মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পাটমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, ইউকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, ইউ এস এ, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিংগাপুরসহ ১৩৫ টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এ সময় পাট রপ্তানি বাবদ ১০ হাজার ৪৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

ঢাকা-৮ আসনের সরকার দলীয় এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল হতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ লাখ ৯ হাজার ২৬ টন কাঁচাপাট এবং দুই হাজার ১৬৪ দশমিক ১২১ টন পাটবীজ উৎপাদন করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেলের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় সাত বিলিয়ন মিটার। দেশের স্থানীয় বাজারে বস্ত্রের চাহিদার ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুযায়ী পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন এবং ডেনিম বস্ত্রের চাহিদা প্রায় আট বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে প্রায় চার বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নিট সুতার চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ টন। তার মধ্যে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা দেশে উৎপাদিত হয় এবং প্রায় চার লাখ টন ঘাটতি রয়েছে যা আমদানি করা হয়। ঘাটতি (ওভেন ও ডেনিম বস্ত্রের) পূরণের জন্য প্রধানত চীন ও ভারত হতে আমদানি করা হয়।

তিনি বলেন, শিল্প উদ্যোক্তারা দেশে নতুন নতুন বস্ত্র ও সুতা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে। ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য ওভেন ও ডেনিম বস্তের ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে।

স্বতন্ত্র এমপি পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির ২৫টি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। উৎপাদন করা ২০টি মিল ইজারার ভিত্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনঃচালুর সরকারি সিদ্ধান্তে ১৪টি মিলের লিজচুক্তি স্বাক্ষরিক হয়েছে। যার মধ্যে ৭টি মিল ইতোমধ্যে পাটজাত পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে ‍কিছু কিছু ‍মিল তাদের পাটজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিপসাম নিয়ে মেঘনায় জাহাজডুবি, নাবিকসহ উদ্ধার ১০

ট্রফি নিয়ে দেশের পথে রোহিতদের বিমান

গ্রিসে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নাহিদা সুমনা

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান 

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে চিংড়ি পোনা আহরণ

গাজী গ্রুপে নিয়োগ, আবদেন করুন শুধু পুরুষরা

বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাহারা

মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র

পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা সরকারের

ফিল্ড অফিসার নেবে এসিআই

১০

সড়ক অবরোধ করে জবি শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন

১১

বন্যায় কুলাউড়ার ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

১২

জন্মের আগে রেজিস্ট্রি; দলিলে আছে সরকারি হাট ও খেলার মাঠ

১৩

শিশু কিডনি চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম

১৪

থানা হাজতে আসামির মৃত্যু, যা মিলল সিসিটিভির ফুটেজে

১৫

বিপৎসীমার ওপরে তিন নদীর পানি

১৬

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিক্ষোভকারীরা

১৭

ফ্রান্সে অনন্ত-বর্ষাকে সম্মাননা প্রদান

১৮

কলড্রপ নিয়ে জিপিকে শোকজ

১৯

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের

২০
X