বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ঘোষিত প্রথম বাজেট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত ৪-৫ বছর বাজেট গ্রোথ ছিল ১০-১২ শতাংশ। কিন্তু এবছরের বাজেটের গ্রোথ ৫ শতাংশের নিচে। এই বাজেট যৌক্তিক ও বাস্তব সম্মত। সরকার এবং আমরা সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করি আমি মনে করি এটা বাস্তবায়ন যোগ্য।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এবারের বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা পূর্বের ন্যায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। এটিকে আমরা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। এ ছাড়া অগ্রিম আয় কর (এআইটি) এবং অগ্রিম কর (এটি) নিয়ে ব্যবসায়ীরা অনেকদিন যাবত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এবারের বাজেটেও সেটি রাখা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব করছি এ দুটি প্রত্যাহারের বিষয় সরকার বিবেচনা করবে।
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ ও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এটি আদায় করা অনেক কঠিন হবে। যদি করতে হয় তাহলে করের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় এটি সম্ভব হবে না বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা বাজেট ঘাটতির প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ। এত বড় অঙ্কের ঋণ সরকার গ্রহণ করলে আমরা ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে অসুবিধায় পড়তে হবে। তখন ব্যবসায়ীদের মূলধন যোগান দিতে বেগ পেতে হবে। ফলে আমরা প্রস্তাব করছি অভ্যন্তরীণ নয়, বিদেশি উৎস থেকে ঋণগ্রহণ করলে সার্বিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগে কোন ডিউটি ছিল না। সেখানে ১ শতাংশ ডিউটি আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার সময় যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছে তার জন্যও আমরা কথা বলেছি। আমি মনে করি অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার। তবে সেখানে ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে আছে। সেখানে আরও অনেকগুলো সুবিধা আছে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়া ইন্ড্রাস্ট্রি করতে পারবেন না। সুতরাং সেখানে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা দরকার।
মন্তব্য করুন