মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। চার মাস পর আবারও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে উঠল। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি গত মাসে কিছুটা কমেছে। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিসিএসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার দশ শতাংশ ছাড়াল।
তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমেছে। এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
গত অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের ঘরে আনার জন্য ক্রমাগত সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই উদ্যোগ কোনো কাজে আসছে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট বেশি হয়েছে গত মাসে। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯২, যেখানে শহরাঞ্চলের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৬। গ্রাম ও শহর দুই অঞ্চলেই খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
মন্তব্য করুন